অনলাইনে অনেকেই হারবাল প্রোডাক্ট সেল করেন। একসময় খুব ভালো সেল পেতেন। এ মুহুর্তে সেল বের করাটা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়িয়েছে। পুরানো যারা এখনও সেল করছেন, অর্থাৎ যাদের ফিক্সড কিছু কাস্টমার হয়ে যাওয়ার কারনে সেলটা এখনও ভালো, তাদের সেল দেখে অন্যদের ডিপ্রেশন আরও বেড়ে যাচ্ছে। এরকম ডিপ্রেশনে পড়া অনেককেই সেল বাড়াতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পরামর্শ নিতে আসেন।
আজকে হারবাল প্রোডাক্ট মার্কেটিং-এ সফল হতে হলে কোন কনটেন্ট প্ল্যানিং করলে ভালো ফল পাওয়া যায়—সেই বিষয়ে কিছু সেল বাড়ানোর সেরা টিপস শেয়ার করবো।
শুরুটা করি, কেন আগে সেল হতো, এখন সেল কমে গেলো?
- উদ্যোক্তা বাড়ছে কিন্তু মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে ভুল এর কারনে বাজারটা বড় হয়নি।
- কতিপয় উদ্যোক্তার অসততা বাজারে আস্থার জায়গাটা নস্ট করে দিয়েছে।
- কনটেন্টের ধরনে বৈচিত্রতার অভাবে অডিয়েন্স আকর্ষন হারিয়ে ফেলছে।
- প্রতিযোগী হিসেবে অন্য কোন প্রোডাক্টের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপরের ৪টা পয়েন্ট খুব ভালোভাবে উপলব্ধি করাটা জরুরী, তাহলেই আপনার সেলস এর রোগের ঔষধ সারাতে পারবেন। আমি সেই ৪টার বিশ্লেষনে গেলাম না। কনটেন্ট প্ল্যানিং এবং মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নিয়ে পরামর্শটা দেওয়াটাই এই ব্লগের মূল উদ্দেশ্য।
আগেই বলে রাখি, যেসব কনটেন্ট আইডিয়া আমি শেয়ার করবো, সেগুলা পড়ার সময়, “আগেতো এত কিছু লাগতো না”—এই চিন্তার ভাইরাসটাকে দূরে সরিয়ে রেখে পড়তে বসবেন।
উপরের ৪টা পয়েন্ট ভালোভাবে উপলব্ধি করলে এই ভাইরাস বেশি মাথাতে উৎপাত করতে পারবেনা।
মার্কেটিং স্ট্রাটেজি পরামর্শটা পড়ার জন্য কফির কাপ নিয়ে বসুন এবার, যাতে মাথাটা ফ্রেশ ভাবে কাজ করে।
স্বাস্থ্য বিষয়ক যেকোন প্রোডাক্ট কেনার ব্যাপারে কাস্টমার সাইকোলজি:
এই সাইকোলজি বুঝা এবং মনে গেথে নেওয়াটা খুব জরুরী। খুব কম সংখ্যক মানুষই একজন ঔষধ বিক্রেতার কাছ থেকে বা ঔষধের দোকান থেকে জিজ্ঞাসা করে ঔষধ কিনে থাকে। একজন স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিজ্ঞ ব্যক্তি বা ডাক্তারের কথা শুনেই মানুষ মূলত ঔষধ কিনে।
আর কাস্টমারের এই সাইকোলজিটাকে ভিত্তি করেই বড় বড় ঔষধ কোম্পানীগুলো তাদের সেলস ফানেল ডিজাইন করে। সেজন্যই ঔষধ কোম্পানীগুলো বিভিন্ন ঔষধের দোকানের পিছনে যতটুকু ইনভেস্ট করে, তার চাইতে বেশির ভাগ ইনভেস্ট করে মূলত ডাক্তারের পিছনে। যাতে ডাক্তার তার রোগীকে ঔষধটা সাজেস্ট করে। এমনকি ঔষধ কোম্পানীগুলো নিজেরাও সরাসরি বিক্রি করেনা। পুরো মার্কেটিং স্ট্রাটেজিটা এরকম হওয়ার পিছনে কারনটাই হচ্ছে কাস্টমারের এই সাইকোলজি।
কিন্তু হারবাল প্রোডাক্ট নিয়ে যেসব অনলাইন উদ্যোক্তারা রয়েছেন, তারা মার্কেটিং প্লানটা সাজায় পুরোই উল্টো। অনলাইন উদ্যোক্তারা পুরোপুরি নিজেদেরকে ঔষধ বিক্রেতা হিসেবে উপস্থাপন করার মত করে মার্কেটিং প্লানিংটা রেডি করে থাকে। এই মার্কেটিং প্লানে বিগত বছরগুলোতে কাজ করেছে ঠিকই, কিন্তু তাতে বাজারটা বড় হতে পারেনি, কিছু সেল হয়েছে কিন্তু এখন ধীরে ধীরে সেল কমে আসছে, মার্কেটিং প্লান কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে, ফেসবুক অ্যাড বাজেটও বেশি খরচ হয়ে যাচ্ছে।
এই প্যারাগ্রাফটুকুর সামারি হচ্ছে, ঔষধ বিক্রেতা হওয়ার চাইতে, স্বাস্থ্য বিষয়ক অভিজ্ঞ হিসেবে ব্রান্ডকে, পেইজকে কিংবা কোন ব্যক্তিকে রেডি করার মত সেলস ফানেল ডিজাইন করতে পারলেই একটা পর্যায়ে ফেসবুক অ্যাডস ছাড়াই ভালো সেল নিয়ে আসা সম্ভব হবে। ইয়েস, লিখাটা ভুল লিখিনি। ফেসবুক অ্যাডস ছাড়াই সেল নিয়ে সম্ভব হবে একটা সময় পর, শুধুমাত্র কাস্টমারের এই সাইকোলজি মাথাতে রেখে সেলস ফানেল ডিজাইন করতে পারলে।
কাস্টমার সাইকোলজি হ্যাক করার মত কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি:
এই পার্টটুকু আপনার ভবিষ্যৎ সেলসকে মসৃণ করার জন্য, ফেসবুক অ্যাডসের খরচ কমানোর জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ। কিন্তু বর্তমান সেলসটাওতো জরুরী। তাই বর্তমানের সেলস বাড়াতে কি করবেন, সেটি একদম শেষ পার্টে লিখে ব্লগটা শেষ করবো।
আপনার বিজনেস পেইজকে স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানের একটা পেইজ বানাতে হবে। অর্থাৎ আপনার পেইজকে ঔষধের দোকান বানানোর জন্য অনেক ডলার খরচ করেছেন ইতিমধ্যে। এখন থেকে সেই পেইজকেই ক্লিনিক বা হাসপাতাল বানানোর মত মার্কেটিং স্ট্রাটেজি সাজাতে হবে।
ক) স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন টিপস শেয়ার করুন:
নিয়মিত প্রোডাক্ট নিয়ে পোস্টের চাইতে নিয়মিত স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন শিক্ষনীয় পোস্টগুলোই অডিয়েন্সকে আপনার পেইজে বার বার ফিরে আসতে বাধ্য করবে। তাই স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপসগুলো ক্রিয়েটিভ এবং প্রফেশনাল প্রেজেন্টেশনে রেডি করে পেইজে কনটেন্ট ক্যালেন্ডার প্লান করে পাবলিশ করুন।
Pro-Tips: সিরিজ হিসেবে পোস্ট করুন, এবং সিরিজের ক্রিয়েটিভ নাম ঠিক করুন। যেমন: ঘরোয়া চিকিৎসা সিরিজ, স্বাস্থ্য কথন, প্রচলিত ভুল।
খ) স্বাস্থ্য বিষয়ক অনলাইন লাইভ:
বিভিন্ন ডাক্তারদের নিয়ে এসে অনলাইনে মাসে একটা যেকোন একটা রোগ নিয়ে অনলাইন লাইভের আয়োজন করুন। সেই লাইভ হওয়ার আগে অডিয়েন্স থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন কালেক্ট করার জন্য ফেসবুক অ্যাডস চালাতে পারেন। ১জন ডাক্তার, ২জন রোগীকেও লাইভে নিয়ে আসতে পারেন। এটা নিয়মিত করতে পারলে অডিয়েন্সদের আপনার পেইজের প্রতি ট্রাস্টের জায়গাটা বৃদ্ধি পাবে, নিজস্ব অডিয়েন্স (own audience) গ্রোথ বৃদ্ধি পাবে।
Pro- Tips: লাইভের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরসহ, বিশেষজ্ঞ টিপসগুলোর ফুটেজ নিয়ে ৩ দিন পর পর পেইজে ধারাবাহিকভাবে কনটেন্ট হিসেবে পোস্ট করলে অনেক অনেক ভালো উপকার পাবেন।
গ) সমস্যা নিয়ে গোপনে প্রশ্ন করার ব্যবস্থা:
প্রতি সপ্তাহে নির্ধারিত একটা স্বাস্থ্য সমস্যার টপিকস বলে দিবেন, সেগুলো নিয়ে গোপনে প্রশ্ন করার আহবান জানাতে নির্ধারিত একটা লিংক দিয়ে দিবেন। প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন কে, সেটাও জানিয়ে দিবেন। তাতে যারা প্রশ্ন করবে, সেখান থেকে ভালো লিড পেয়ে যাবেন। চমৎকার ফল পাওয়া যায়, এই স্ট্রাটেজিতে।
Pro- Tips: সপ্তাহ শেষে, এই সপ্তাহে প্রাপ্ত বিভিন্ন সমস্যা এবং সেই সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে একটা পোস্ট করবেন। ব্লগ, ভিডিও যেতে পারে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়ে।
উপরের এই ৩টা প্লান অনুযায়ি অ্যাক্টিভিটিস আপনার কনটেন্ট ক্যালেন্ডারে যুক্ত করে নিন। তাতেই আপনার ব্রান্ডের একটা নিজস্ব অডিয়েন্স বেইস গড়ে উঠবে, যাদেরকে কাস্টমার বানাতে কম কাঠখড় পোহাতে হবে। কারন ততক্ষনেই তারা আপনাকে বিশ্বাস করা শুরু করবেই, প্রেমেও পড়ে যাবে। :p প্রেম করতে আম্মুর নিষেধ থাকলে, এটাকে সেলস ফানেল পড়ুন। অর্থাৎ অডিয়েন্স এতক্ষনে আপনার সেলস ফানেলের ১ম স্তরের জালে আটকা পড়ে গেছে।
বিশেষ দ্রস্টব্য: এই ধাপে যা যা আলোচনা করেছি, এগুলো বিজনেস গ্রোথের জন্য অপশনাল কাজ না, বরং অবশ্যই করনীয় কাজ। যখন শুধুমাত্র সেলস কনটেন্ট তৈরি করেন, তখন সেটা মাত্র ৩% অডিয়েন্সকে সেলসে কনভার্ট করার জন্য করা হয়। আর বাকি ৯৭% মানুষকে কাস্টমার বানাতে প্লান করা হয়না, সেজন্যই মার্কেটটা বড় হয়না। বাকি ৯৭% দের কাস্টমারে কনভার্ট করতেই উপরের পরিকল্পনাটা কাজে লাগবে।
অডিয়েন্স সেগমেন্ট নিয়ে ফুল কনটেন্ট প্ল্যানিং স্ট্রাটেজি জানতে পড়ুন এই ব্লগটি:
ডা. জাহাঙ্গীর কবির কোন একটা প্রডাক্টকে বললে মানুষ যে পরিমান বিশ্বাস করে, সেই অথোরিটি পাওয়ার আপনার ব্রান্ডের জন্য নিয়ে আসতে হবে, যদি লং টাইম সেলস চান। সেজন্যই সেলস ফানেলটা এভাবে ডিজাইন করে এগোতে হবেই, তার কোন বিকল্প নাই। না হলে একটা পযায়ে মানুষের কাছে আস্থার জায়গা আরও কমতে থাকবে, মানুষ ডে বাই ডে অনেক সচেতন হচ্ছে। তাই তখন সেলসও কমে আসবে।
এবার আসুন, বর্তমানের সেলসের দিকে একটু ফোকাস করি।
সেলস বৃদ্ধির জন্য কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি:
যেকোন প্রডাক্ট সেল করার জন্য কাস্টমারের তৃতীয় চক্ষুকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে হয়। অর্থাৎ মানুষের বিবেচনার শক্তিকে দুর্বল করে দিয়ে আবেগীয় শক্তিকে বৃদ্ধি করে আবেগ থেকে সিদ্ধান্ত নিতে উদ্বুদ্ধ করতে কনটেন্ট প্লানিং করতে পারলেই সেলস এ সফলতা পাওয়া যায়। সেই বিষয়কে মাথাতে রেখেই কিছু কনটেন্ট আইডিয়া শেয়ার করবো এই পার্টটুকুতে।
ক) চলতি পেইনপয়েন্ট খুজে বের করা:
সবাই একই পেইনপয়েন্ট একই স্টোরি তুলে ধরার চেষ্টা করছে তাদের ভিডিও তে। তাই নতুনত্ব আনার জন্য এবং মানুষের মনের আবেগীয় পার্টকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য অডিয়েন্সের বর্তমান পেইনপয়েন্টকে আইডেনটিফাই করতে হবে সবার আগে। উপরের পরিকল্পনাতে গোপন প্রশ্নের যেই প্লান করেছি, সেখান থেকে বিভিন্ন ঘরে ঘরে বর্তমানে কি সমস্যা চলছে, সেটি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। আরও দুটি কাজ করতে পারলে খুবই ভালো একটা তথ্য খুজে বের করতে পারবেন।
- উদ্যোক্তারা নিজেরা মিটআপ করার কালচার রয়েছে আমাদের অনলাইন কমিউনিটিতে, বিজনেস নিয়ে আলোচনা করার জন্য। এখন এই সময়টা একটু ভিন্নভাবে ব্যয় করুন। বিভিন্ন জেলাতে যাওয়ার কোন সুযোগ আসলেই, সেই এলাকার মুরুব্বী কিংবা অন্য ব্যক্তিদের শারিরীক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আড্ডা দেওয়ার চেষ্টা করুন। “পরিবারের কারও অসুখ থাকলে, ভালো খাওয়া দাওয়া করতে পারলেও ঘরে স্বস্তিটা থাকেনা।” জাস্ট এটুকু লাইন বলেই আড্ডার টপিকস শুরু করে দেন। দেখেন, মানুষ তার পরিবারের চলমান অশান্তিগুলো নিয়ে মন খুলে শেয়ার করা শুরু করে দিবে।
- ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মানুষের মনের আবেগটা বের করে নিয়ে আসার চেষ্টা করেন। “ আপনার কাছে আলাদ্দিনের চেরাগ থাকলে , দৈত্যের কাছে আপনার বাবা-মার শারিরিক কোন সমস্যাটা সমাধান চাইতেন, কেন চাইতেন?” এরকম প্রশ্ন নিয়ে পোস্ট করতে পারেন। কেন চাইতেন? এটার উত্তরে বাবা-মার প্রতি আবেগটা বের করে নিয়ে আসতে পারবেন, যেটাকে ক্রিয়েটিভ ভাবে কনটেন্টে ফুটিয়ে তুলেই ইফেক্টিভ সেলস কনটেন্ট প্লানিং এ কাজে লাগবে।
তাহলে আমরা পরিবারের চলতি পেইনপয়েন্ট খুজে বের করতে ৩টা উপায় বললাম। এ ৩টা উপায় কাজে লাগিয়ে অনেকগুলো স্টোরি আশা করি খুজে বের করে নিয়ে আসা সম্ভব হবে।
খ) ইমোশনাল কনটেন্ট:
হার্বাল ঔষধের সবচাইতে কার্যকরী কনটেন্টের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ইমোশনাল কনটেন্ট। ইমোশন তৈরি করতে উপরে পাওয়া পেইনপয়েন্ট থেকে পাওয়া তথ্যকে কাজে লাগিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। মানুষ সাধারনত কনটেন্ট স্কীপ করে। সেজন্য ইমোশনাল কনটেন্ট তৈরি করে সেটা থেকে ফলাফল পেতে ৩টা পরামর্শ দিচ্ছি।
- পেইনপয়েন্ট থেকে পাওয়া গল্পগুলোর মধ্যে যেটা বেশি আপনার মনকে নাড়া দিয়েছে, সেটাকেই অভিনয়ের মাধ্যমে যদি তুলে ধরে আনতে পারেন, মানুষ তাহলে সেটার সাথে কানেক্টেড হতে পারবে। নিজের ব্রেইন থেকে বের হওয়া গল্প মানুষকে আকর্ষণ করতে পারবেনা। এই ভিডিও ১ মাসে ১টা না পারলে ২ মাসে ১টা হলেও চলবে।
- যদি কোন ভুক্তভোগীর গল্প ফুটিয়ে তুলে গল্প করতে চান, সেটার ক্ষেত্রেও গতানুগতিকতা ভেঙ্গে মানুষকে আটকানোর মত কিছু তৈরি করতে পারেন। উদাহরণ হিসেবে অন্য একটা অনুপ্রেরণামূলক গল্প নিয়ে ভিডিও লিংক দেখতে দিচ্ছি। এটা আমাদের কনটেন্ট কিং টিম থেকে তৈরি করা হয়েছিলো ২০২২ সালের দিকে। তবে, এটা কোন রোগীর গল্প না। এটা কোর্সের ফিডব্যাক বা রিভিউ স্টোরি ছিলো।
ভিডিওতে দেখবেন, নাটকীয় উপস্থাপনাতে শুরুটাই অডিয়েন্সের ব্রেইনকে ভিডিওটা দেখতে আগ্রহী করে তুলবে। এই ভিডিওটাই রিভিউ ভিডিও হিসেবে এবং একই সাথে ইমোশনাল কনটেন্ট হিসেবে কাজ করবে। এই ভিডিওটা দিয়ে অ্যাডস চালিয়ে আমরা অনেক সেলসও পেয়েছিলাম।
- যেকোন কনটেন্টটা তৈরি করছেন, সেই কনটেন্ট থেকে ফলাফল ১০ গুণ বেশি পেতে হলে নয়েজ তৈরি করার স্কীলটা আয়ত্ত্ব করতে হবে। তাহলেই মুলত বাজারে ভালো একটা ইমপ্যাক্ট ফেলতে পারবে আপনার কনটেন্ট। কনটেন্টে নয়েজ তৈরি করার পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত লিখা পড়ুন এই লিংক থেকে।
গ) মিথ ভাঙ্গা সিরিজ কনটেন্ট:
হার্বাল প্রোডাক্টের অনেক সেলস আটকিয়ে যায় যে জায়গাতে, সেটা হচ্ছে, বাজারে এটা নিয়ে নেগেটিভ অনেক কিছু প্রচলিত আছে, যার অনেকটুকু সত্য, আবার অনেক কিছুই মিথ্যা বা মিথ বলা যায়। সেই ভুলগুলো নিয়ে আলাদা সিরিজ কনটেন্ট করুন পেইজে। ভিডিও হবে, ইমেজও হবে। সিরিজের ১টা পর্বে ১টা প্রচলিত ভুল ধারনা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করবেন, যা ধীরে ধীরে মানুষের ব্রেইনে পজিটিভ হিসেবে বিশ্বাস জন্মাতে সহায়ক হবে। এটা হয়তো আপনারা সেলস কনটেন্টেই যখন যুক্ত করে দিচ্ছেন, কিন্তু সেই কনটেন্টে এই পয়েন্টটা ব্রেইনে ততটা ইফেক্টিভলি কানেক্ট করতে পারেনা। কারন সেলসের জন্য মানুষ অনেক কিছুই বলে, এটাই কাস্টমারের সাইকোলজি। তাই আলাদা সিরিজ করেন, সেই টপিকসের উপর।
সেলস নিয়ে এই প্লানগুলো যদি ক্রিয়েটিভভাবে এবং প্রফেশনালভাবে প্রেজেন্ট করতে পারেন, তাহলে আপনার ব্রান্ড ভ্যালু বাড়তে থাকবে, সেলস বাড়বে অনেক গুণ।
এখানে সংক্ষিপ্তভাবে প্লানটা শেয়ার করলাম। বিস্তারিত প্লানিং (কনটেন্ট, মার্কেটিং, অ্যাংগেজমেন্ট অ্যাক্টিভিটিস ) এর প্রয়োজন হলে আমাদের পেইড কনসালটেন্সি সার্ভিসটা নিতে পারেন।
যেকোন বিজনেসের জন্য কনটেন্ট কিং থেকে পেইড কনসালটেন্সি সাপোর্ট নিতে লিংকে ক্লিক করুন।