সেলস বাড়াতে ফেসবুক অ্যাডস, কনটেন্ট, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি নাকি ল্যান্ডিং পেজ — কোনটা সবচেয়ে জরুরি? নতুন উদ্যোক্তারা এই প্রশ্নে বেশ দ্বিধায় পড়ে যান।
আসলে, একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িত। সবাই মিলে কাজ করে সেলস বাড়াতে। এই ব্লগে ক্লিয়ার করবো — কোনটা কেন দরকার আর কীভাবেই বা কাজ করে। আর বিজনেস করতে হলে আপনাকে পড়তে হবে শিখতে হবে – সো স্ক্যান করা বাদ দিয়ে ফুল ব্লগ টি মনযোগ দিয়ে পড়েন।
ফেসবুক অ্যাডস:
আপনার প্রোডাক্টের খবর যত বেশি মানুষের কাছে যাবে, সেলসের সুযোগ ততই বাড়বে।
ধরেন, ১ লাখ মানুষের কাছে মেসেজ পৌঁছালে ৫০ জন কিনবে। আর যদি ৩০ লাখের কাছে পৌঁছাতে পারেন, তাহলে সম্ভাবনা বেড়ে ১৫০ জনে পৌঁছে যাবে।
এই বিশাল স্কেলে পৌঁছানোর কাজ শুধু ফেসবুক অ্যাডস দিয়ে না — সব ধরনের পেইড অ্যাডস দিয়েই করা সম্ভব।
তবে বাংলাদেশের বাস্তবতায় বললে — এখন বেশিরভাগ মানুষ ফেসবুক আর ইউটিউবেই সময় কাটায়। তাই আপাতত ফেসবুক আর ইউটিউবে অ্যাড চালালেই কাজ চলে যাবে।
পেইড অ্যাডস ছাড়া এত টার্গেটেড মানুষের কাছে পৌঁছানো রীতিমতো অসম্ভব। আর শুধু বেশি মানুষের কাছে মেসেজ পাঠিয়ে কাজ শেষ না —সেলস ফানেল অনুযায়ী যারা সত্যিই প্রোডাক্ট কিনতে চায় বা কিনতে সক্ষম, তাদের কাছেই পৌঁছাতে হবে। এই নিখুঁত টার্গেটিংয়ের সুবিধা দিচ্ছে ফেসবুক অ্যাডস।
আর একটা জিনিস মাথায় রাখুন —
একজন মানুষ একটা মেসেজ একবার দেখলেই দৌড়ে গিয়ে প্রোডাক্ট কিনে ফেলবে, এমন আশা করবেন না।
তাকে বারবার মনে করিয়ে দিতে হবে। বারবার চোখের সামনে আসতে আসতে একসময় সেই মেসেজ তার মাথায় গেঁথে যাবে। তখন হয় সে লোভে পড়ে, না হয় প্রয়োজন অনুভব করে — আর তখনই প্রোডাক্ট বা সার্ভিস ক্রয় করে। এইভাবে একই মানুষের কাছে বারবার ব্র্যান্ডকে রিপ্রেজেন্ট করতে চাইলে, ফেসবুক অ্যাডস একটি চমৎকার কনটেন্ট মার্কেটিং টুল হিসেবে কাজ করে।
তাহলে এবার সংক্ষেপে বলি, সেলস বৃদ্ধিতে ফেসবুক অ্যাডস জরুরি ৩টা মূল কারণে:
- যার প্রয়োজন তার কাছেই মেসেজটা পৌঁছানোর জন্য
- ব্যাপক সংখ্যক মানুষের কাছে ব্র্যান্ড বা সার্ভিসকে রিপ্রেজেন্ট করার জন্য
- একই ব্যক্তির মনের দরজায় বারবার নাড়া দিয়ে কিনার ব্যাপারে আগ্রহী করে তোলা (দিনে ১০ বার অ্যাড দেখাতে বলিনি)
আপনারা যারা শুধুমাত্র ফেসবুক অ্যাডসের উপরে ডিপেন্ড করে আছেন তাদের বলছি — গুগল অ্যাডসে যান, SEO করুন।
আমি জানি এর পরেও এগুলো ট্রাই করবেন না, যখন একেবারে তলানিতে পড়বেন তখন ঠিকই আফসোস করবেন।
কনটেন্ট:
আমি আপনাকে প্রশ্ন করি, নিজেই উত্তর খুঁজুন। দেখবেন, নিজের ব্রেইন থেকেই কনটেন্টের গুরুত্ব পরিষ্কার হয়ে যাবে।
প্রশ্ন —
আপনার নিউজফিডে প্রতিদিন যত অ্যাড আসে, সব অ্যাড থেকে কি আপনি প্রোডাক্ট কিনে ফেলেন?
যদি উত্তর হয় — “হ্যাঁ, সব অ্যাড দেখলেই কিনে ফেলি!” তাহলে আপনি রীতিমতো লিজেন্ড! আপনাকে কনটেন্টের গুরুত্ব বুঝানোর দরকারই নেই।
কিন্তু যদি উত্তর হয় — “না ভাই, সব অ্যাড দেখে তো আর কিনি না!”
তাহলে এবার একটু নিজের ব্রেইনকে কাজে লাগান। শুধু অন্যের কথা শুনে মাথা না নেড়ে, আল্লাহ যেই ব্রেইন দিয়েছেন, সেটা দিয়ে ভাবুন..
এবার ভাবুন:
- অনেকগুলো অ্যাড দেখার পর আপনি ঠিক কোন অ্যাড দেখে আগ্রহী হলেন কেনার জন্য?
- একই প্রোডাক্টের অনেক ব্রান্ডের অ্যাড দেখলেন, কিন্তু কেন শুধু একটা ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থা তৈরি হলো?
এইটার উত্তর খুজতে গেলেই পাবেন, শুধু মাত্র প্রোডাক্ট ভালো হওয়া আর ফেসবুক অ্যাডস চালিয়ে সেই প্রোডাক্টের তথ্য সবার কাছে পৌছানোই শেষ কথা না, আর সেটা হলে, সবগুলো ব্রান্ডের সবগুলো প্রোডাক্টই আপনি কিনে ফেলতেন।
মানুষের হার্টে জায়গাটা দখল করতে হয়, বিশ্বাস তৈরি করতে হয় — আর সেটা হয় আকর্ষনীয়, ইমোশনাল, ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে।
যেমন প্রাণ, রাধুনীর মতো ব্র্যান্ডরা আমাদের মাথায় ঢুকে গেছে নিয়মিত, ধারাবাহিক কনটেন্টের মাধ্যমে।
অনলাইন উদ্যোক্তাদের ভালো প্রোডাক্ট থাকার পরও কেন সেল কম হয়?
কারণ, তারা এখনো কনটেন্টকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে তাদের মার্কেটিং প্লান সাজাতে কম উৎসাহী থাকে, অনলাইন উদ্যোক্তাদের মুল স্বপ্নটাই হচ্ছে, ফেসবুক অ্যাডসে কখন টাকা ঢালবে, আর সাথে সাথে সেলস এর বন্যা বয়ে যাবে।
বড় ব্রান্ডগুলোর সাথে আমাদের কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, তারা কনটেন্ট করার ক্ষেত্রে , সেই কনটেন্টে ৫টা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য থাকার ব্যাপারে জোর দিয়ে থাকেন। কিন্তু ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা সেই পয়েন্টগুলো নিয়ে একদমই সচেতন নয়। কনটেন্টের সেই ৫টা বৈশিষ্ট্য ঠিকমতো বুঝতে চাইলে পড়ে ফেলুন আমাদের ইবুক: “Content Hacks“।
আর যদি চান যে Content King আপনার প্রতিষ্ঠানের জন্য কনটেন্ট তৈরি করে দেবে তাহলে আমাদের এজেন্সি থেকে সাপোর্ট নিতে পারেন।
যারা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, তাদের বিজনেসের শুরুতে অবশ্যই কনটেন্ট ও ফেসবুক অ্যাডস এর উপর নিজেরাই দক্ষ হয়ে উঠা উচিত। অন্য কারও উপর শুরুতেই নিজের বিজনেসের এই সব দায়িত্ব দেওয়া উচিত না।
মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি:
উদ্যোক্তাদের এখন আবার শুনতে হচ্ছে, শুধু কনটেন্ট হলেই হবেনা, সেলস এর জন্য সঠিক স্ট্র্যাটেজি লাগবে। এই স্ট্র্যাটেজি শব্দটা এসে উদ্যোক্তাদের মনে নতুন আরেক কনফিউশন তৈরি করে দিলো।
এবার তাহলে আসি, এই স্ট্র্যাটেজিটার সেলসে কি ভুমিকা? এটা বুঝাতে প্রেম দিয়ে বুঝাতে হবে, তাহলেই বুঝতে সুবিধা হবে।
ধরুন, একটা মেয়ে আছে, দেখতে খুব একটা সুন্দরী না- তাই তার কাছে খুব একটা ছেলের প্রস্তাবও আসে না।
এখন যদি কোনো একজন ছেলে খুব সুন্দরভাবে, আকর্ষণীয়ভাবে তার কাছে প্রেমের প্রস্তাব দেয়, তাহলে মেয়েটা খুব সহজেই তার হার্টটা ওই ছেলেকে দিয়ে দিবে।
কিন্তু আরেকজন সুন্দরী মেয়ের কথা ভাবুন —
যার কাছে প্রতিদিন অনেক আকর্ষণীয় ছেলেরা প্রেমের প্রস্তাব পাঠায়। সে কি এত সহজে কারও প্রস্তাবে রাজি হবে? তার কাছে অনেক অপশন। এত প্রস্তুাব পেতে পেতে এখন আর এই প্রস্তাব তার হৃদয়ে ঢেউ তুলতে পারেনা।
এমন পরিস্থিতিতে যদি আপনি চান তার মন জয় করতে, তাহলে সরাসরি গিয়ে সুন্দর কনটেন্ট দিয়ে প্রস্তাব দিলেই হবে না — এখানেই সফলতার জন্য আপনার দরকার হবে একটা স্ট্র্যাটেজি প্লানিং।
একইভাবে প্রতিযোগীতাপূর্ণ বিজনেসের মাঠে ক্রেতার মন জয় করতে হলে সেলস ফানেল অনুযায়ি স্ট্র্যাটেজি সাজাতে হবে।
চলুন দেখি প্রেমের স্টাইলেই স্ট্র্যাটেজির ৫টি ধাপ:
১ম ধাপ: সরাসরি প্রস্তাব না দিয়ে এমন কিছু করতে হবে (মানে কনটেন্ট বানাতে হবে), যাতে মেয়েটা ইমপ্রেস হয় আর আপনার সাথে কানেক্ট হতে আগ্রহী হয়।
২য় ধাপ: মেয়েটার সাথে যোগাযোগের একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে, মানে নিয়মিত কিছু না কিছুভাবে তার মনে জায়গা করে নিতে হবে।
৩য় ধাপ: এই নেটওয়ার্ক কাজে লাগিয়ে কেয়ারিং আচরণ বাড়াতে হবে, যাতে মেয়েটার মনে আপনার প্রতি বিশ্বাস আর নির্ভরতা তৈরি হয়।
৪র্থ ধাপ: বিশ্বাস তৈরি হলে মেয়েটা নিজে থেকেই বন্ধুত্ব করতে চাইবে।
৫ম ধাপ: আর বন্ধুত্বের ধাপে বেশিদিন সময় নষ্ট না করে, ঠিক সময়ে প্রেমের প্রস্তাব দিতে হবে — তখন সে আগ্রহ নিয়ে আপনাকে গ্রহণ করবে।
এটাই স্ট্র্যাটেজি।
প্রেমের এই স্ট্র্যাটেজির ধাপগুলোর মতোই, আপনাকেও ক্রেতার মন পেতে এবং তার পকেট থেকে প্রোডাক্টের জন্য টাকা বের করতে কনটেন্ট স্ট্রাটেজি প্ল্যান করতে হবে।
ঠিকভাবে এই স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করলে:
- আপনার সেলস বাড়বে,
- ফেসবুক অ্যাডসের খরচ কমবে,
- আর একটা পর্যায়ে অর্গানিকভাবেই বেশি অর্ডার আসবে।
এই স্ট্র্যাটেজির জোরেই বড় বড় ব্র্যান্ডগুলো আপনার আমার মনে জায়গা করে নিয়েছে — অ্যাড না চালালেও তাদেরকে আমরা মন থেকে বের করে দিতে পারিনা।
আপনিও যদি এমন স্ট্র্যাটেজি শিখতে চান, তাহলে আমাদের ব্লগগুলো পড়ে দেখতে পারেন একদম ফ্রিতে।
আর যদি একদম হাতে-কলমে শিখতে চান, তাহলে আমাদের পেইড কোর্স (Sales Growth Foundation) আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে।
ল্যান্ডিং পেইজ:
অনেক উদ্যোক্তা ভাবে, শুধু ফেসবুক পেইজ থাকলেই হবে। হ্যাঁ, ফেসবুক পেইজ থাকাটা অবশ্যই দরকারি। এটা আপনাকে অনেক মানুষের সামনে উপস্থিত হতে দেয়, যোগাযোগ বাড়ায়, প্রোডাক্ট দেখাতে সাহায্য করে। কিন্তু শুধু ফেসবুক পেইজ থাকলেই সেলসের পুরো সুযোগ কাজে লাগানো যায় না।
ভাবুন —
ফেসবুক পেইজ হচ্ছে পণ্য বিক্রির করার ভ্যাণ গাড়ি। ল্যান্ডিং পেইজ হচ্ছে দোকান। ভ্যাণ গাড়িতেও প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায়, কিন্তু তারপরও মানুষ এত টাকা খরচ করে কেন দোকান ভাড়া নেয়, সেটা যদি বুঝতে পারেন, তাহলেই বুঝে যাবেন, কেন ল্যান্ডিং পেইজ দরকার। ল্যান্ডিং পেইজ হচ্ছে নিজের একটা দোকান। দোকান থেকে কিনতে মানুষ একটু বেশি স্বাচ্ছন্দবোধ করবে, ট্রাস্ট করবে, সেটাই সত্য। দোকানকে বা ল্যান্ডিং পেইজকে কত সুন্দর করে সাজাবেন, মানুষ প্রোডাক্ট কিনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সব তথ্য পায় কিনা, কত সহজে কেনাকাটা করা যায়, সেটার উপর নির্ভর করে মানুষ প্রোডাক্টটা কিনবে কিনা।
দোকানে বা ল্যান্ডিং পেইজে ক্রেতাকে পাঠানোর কাজটা কিন্তু ফেসবুক পেইজ দিয়েই করতে হবে। আকর্ষণীয় কনটেন্ট দিয়ে মানুষকে দোকানে যেতে উৎসাহিত করলে মানুষ ল্যান্ডিং পেইজ প্রবেশ করবে।
ফেসবুকে কনটেন্ট কিংবা ফেসবুক অ্যাডস লাগবেই — মানুষকে ল্যান্ডিং পেইজে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
অর্থাৎ, আপনার ল্যান্ডিং পেইজে যদি প্রচুর মানুষ ঢুকে, তাহলে বুঝতে হবে — ফেসবুকের কনটেন্ট ভালো ছিল, তাই মানুষ ল্যান্ডিং পেইজে ঢুকেছে। কিন্তু যদি প্রোডাক্ট না কিনে থাকে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার স্ট্র্যাটেজিটাতে আরও চেঞ্জ আনার প্রয়োজন রয়েছে এবং একই সাথে ল্যান্ডিং পেইজেও কিছু ক্রিয়েটিভ আইডিয়া কাজে লাগাতে হবে।
এটাকে মার্কেটিং এর ভাষাতে বলা হয় CRO (Conversion Rate Optimization)। যাক, এটা নিয়ে পরে একদিন কথা বলা যাবে।
উপর থেকে যা পড়েছেন, ব্রেইনের ভিতর কি প্যাচ লেগে গেছে? তাহলে পড়ুন এবার পুরো লিখার সারাংশটুকু। তাহলে পুরো লিখাটা ব্রেইনকে সচল করে দিবে।
পুরো ব্লগের সারাংশ:
যদি আপনার টাকা খরচ নিয়ে কোন ধরনের টেনশন না থাকে, টাকার প্রতি মায়া কম থাকে, তাহলে মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রায়োরিটিটা ফেসবুক অ্যাডসে দিবেন। আর যদি হয় যে, টাকা খরচের ব্যাপারে হিসাবী হয়ে থাকেন, টাকা কম থাকে, তাহলে মার্কেটিং এ আপনার মূল ফোকাস থাকবে কনটেন্ট ও মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজির উপর। যে কনটেন্ট অডিয়েন্স পছন্দ করবে, সেটাতে ফেসবুক অ্যাডস বাজেট রাখবেন।
বিষয়টা এরকম, আপনি ATN এর মালিক ড. মাহফুজুর রহমান। যার গান ভয়াবহ, কিন্তু তার প্রচুর টাকা আছে। তাই এই কুখাদ্য সবাইকে খাওয়ানোর জন্য টাকা খরচ করে সবার চোখের সামনে আনে, সবাইকে বাধ্য করে উনার গান শুনতে। কিন্তু যার টাকার যোগান কস্টের, সে আগে চমৎকার একটা গান তৈরি করবেম সেই সক্ষমতা থাকলে সে সেটাকেই মিডিয়াতে আনবে, কম টাকা ব্যয় করলেও সেই গান সবাই শুনবে।
আর সেজন্যই বলা হয়, Content is the king of Business.
বাকি সব এই রাজাকে সহযোগীতা করার জন্য সৈন্য- সামন্ত।
একটু ভালোভাবে উপলব্ধি করার জন্য একটা উদাহরণ দিয়ে শেষ করি।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা , ড. মোহাম্মদ ইউনুস। খুবই শক্তিশালী পাওয়ারফুল একজন যোগ্যতা সম্পন্ন একজন ব্যক্তিকে আমরা প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বসিয়েছি, সেজন্য এই দেশকে সকল দেশ অনেক সম্মানের সাথে দেখছে, দেশ চমৎকার গতিতে এগোচ্ছে। উনার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন, অনেকগুলো উপদেষ্টা। প্রধান উপদেষ্টা অনেক যোগ্যতা সম্পন্ন পাওয়ারফুল হওয়ার কারনে অন্য উপদেষ্টারা ভালো রেজাল্ট নিয়ে আসতে পারছেন। কিন্তু প্রতিজন উপদেষ্টারও দেশকে চালানোর জন্য অনেক ভালো ভুমিকা রাখতে হচ্ছে।
একইভাবে আপনার বিজনেসের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছে কনটেন্ট। এই কনটেন্ট যখন শক্তিশালী হবে, তখন ফেসবুক অ্যাডস সহ অন্য সব কিছু খুব ভালো রেজাল্ট আনতে পারবে। আর যদি আপনি প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে যোগ্যতাসম্পন্ন পাওয়ারফুল কনটেন্টের দিকে ফোকাস না করে অন্য উপদেষ্টাদের যোগ্যতা বৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করেন, তাহলে দেশ যেরকম এগোতে পারবেনা, একইভাবে আপনার বিজনেস গ্রোথও ভালোর দিকে এগোতে পারবেনা।
আর সেজন্যই যারা কনটেন্টে বেশি ফোকাস করে, এবং একটা সুন্দর স্ট্র্যাটেজি ধরে সামনে আগায়, তারা একটা পর্যায়ে অ্যাডস খরচ কমিয়ে আনতে পারে, তখন প্রফিট মার্জিন বাড়তে থাকে, বিজনেসকে আরও বড় জায়গাতে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
যেকোন বিজনেসের জন্য কনটেন্ট কিং থেকে পেইড কনসালটেন্সি সাপোর্ট নিতে লিংকে ক্লিক করুন।
One Response